সরকারি উকিলের বেতন কত ২০২৪

বাংলাদেশের সরকারি উকিলের সম্পর্কিত নানা ধরনের অজানা তথ্য দেশের প্রায় ৮০% মানুষের অজানা রয়ে গেছে। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদেরকে জানাবো সরকারি উকিলের অজানা তথ্য, এবং সরকারি উকিলের বেতন কত সম্পর্কিত নানা ধরনের কথা। সরকারি উকিল হওয়া একটি গৌরবশীল এবং জনসাধারণের সেবা করার একটি উচ্চ দায়িত্ব। তাদের কাজের একটি মৌলিক দায়িত্ব হলো সরকার ও ব্যক্তির মধ্যে আইনি বিষয়ে ন্যায্য ও বিচারপতি সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা।

তাদের কাজের মধ্যে অভিযোগ প্রস্তুত করা, মোকাদ্দের প্রতি উপযোগী প্রতিনিধিত্ব করা এবং আইনি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা ইত্যাদি অংশ সহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে। সরকারি উকিল হিসেবে একজন ব্যক্তির যোগ্যতা পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি একটি দায়িত্বশীল ক্ষমতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।অধিকাংশ লোক অনলাইনে বা সরকারি উকিল সম্পর্কে নানাবিধ তথ্য জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন।

তাই তাদের জন্যই আজকের এই সুন্দরতম প্রতিবেদনটি সাজানো হয়েছে। যারা এখনো সরকারি উকিল সম্পর্কে অজানা রয়ে গেছে, তারা অবশ্যই আমাদের এই প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে সম্পন্ন করার অনুরোধ রইল। এই প্রতিবেদনটি আপনি সম্পন্ন পড়লে জানতে পারবেন সরকারি উকিল সম্পর্কিত নানা ধরনের তথ্য এবং তাদের বেতন এবং আইনি পেশা সম্পর্কে। তাই চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।

সরকারি উকিলের বেতন

প্রত্যেকের জীবনে কোনো না কোনো আইনি সমস্যায় পড়তে হয়। যেকোনো ধরনের আইনি সমস্যায় পড়লে আমরা অবশ্যই সর্বপ্রথম সরকারি উকিলের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই আছে যারা সরকারি উকিল সম্মান দিয়ে তেমন কোন জ্ঞান না থাকার কারণে তারা সঠিক জায়গায় গিয়ে আইনের সমস্যার সমাধান করতে পারে না। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে আমাদেরকে জানাবো একজন সরকারি উকিলের পরিচয় সম্পর্কে এবং সরকার উকিল কত টাকা ফি নিয়ে থাকে এবং তার মাসিক বেতন কত।

একজন সরকারি উকিল অফিসিয়ালি ভাবে ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় তার দক্ষতা এবং পরিশ্রমের কারণে আনঅফিসিয়ালি অনেক টাকা ইনকাম করে থাকে। তাই আপনারা যারা উকিল পেশায় পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক এবং কি ভবিষ্যতে উকিল হওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে সেক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই যোগ্যতা সম্পন্ন উকিল হতে হবে। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনি যেকোনো পেশাই বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সরকারি উকিলের আবেগ ও সুবিধা

একজন সরকারি উকিলের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে । এর মধ্যে যদি হয়ে থাকে সরকারি লেভেলের কোন উকিল। আমাদের সাধারণত যেকোনো ধরনের আইনের সমস্যা হলে, আমরা সর্বপ্রথম উকিলের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। একজন উকিল আমাদের নানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং সমস্যার সমাধান করে থাকে। এর মাধ্যমে তিনি কিছু পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে, এর পাশাপাশি সরকারের তিনি বেতনভুক্ত আছে। সরকারিভাবে একজন উকিল মাসিক বেতন পায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এমনকি অকালতি শেষ হলে সরকার থেকে পেনশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও বেতনের সাথে অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তাদের সুবিধাও রয়েছি, যেমন পেনশন, মেডিকেল সুবিধা, যাতায়াত ভাতা, বীমা ইত্যাদি। অনেক দেশে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ আবস্থান, স্কুল, কলেজ, এবং অন্যান্য সুবিধা সরবরাহ করা হয়।

সরকারি উকিলের বেতন বাংলাদেশ

সরকারি উকিলের বেতন বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে, কারণ এটি দেশের নিয়ম-কানুন ও নীতির সাথে সম্পর্কিত। আমরা সাধারণত একজন উকিল এর কাছে আইনগত কোনো সমস্যা হলে তার পরামর্শ দিয়ে থাকি এবং তারপর আমার সঙ্গে অনুযায়ী আমাদের সমস্যা গুলো সমাধান হয়। আমাদের বিভিন্ন ধরনের আইনগত সমস্যা রয়েছে, যেমন যৌতুক,নারী নির্যাতন, হ*ত্যা, চুরি কিংবা ডাকাতি নানা ধরনের আইনিগত সমস্যা নিয়ে তার শরণাপন্ন হয়। উকিলের মধ্যেও আবার বিভিন্ন ধরনের সরকারি এবং বেসরকারি এবং কি অফিসিয়ালি আনঅফিসিয়ালি উকিল রয়েছে। এদের বেতন ও ভিন্ন ভিন্ন । বাংলাদেশী একদল সরকার উকিলের বেতন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এবং উকিলের কর্মদক্ষতা এবং পরিশ্রমের উপর ভিত্তি করে অনেক উপরি ইনকাম করতে পারে।

উকিলের মাসিক ও বার্ষিক বেতন

আমাদের ব্যক্তিগত আদালতের মামলার দায়েরের জন্য কিলের শরণাপন্ন হতে হয়। এতে যাদের মামলা যত বড় ধরনের হয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসে। উকিলের সহকারী মুহুরিও খরচ বাবদ টাকা দাবি করেন। তারপর মামলার প্রতি তারিখে উকিল সাহেব এবং মহুরি সাহেবকে টাকা ও অন্যান্য খরচাদি দিতে হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রদেয় এসব টাকার কোনো নির্ধারিত সীমা নেই। বিচারপ্রার্থী তথা মক্কেলদের কাছ থেকে ইচ্ছামাফিক টাকা আদায় করা হয়। মামলার স্বার্থেই তারা জিম্মি।

একজন উকিল যদি মাসিক ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করে, এটা শুধু বেতনভুক্ত এবং কি মামলা দায়ের সময় মক্কেলদের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা আদায় করে নেন। একজন উকিলের বাৎসরিক বেতন প্রায় পড়ে প্রায ৩৬০০০০ টাকা। এছাড়াও উকিলের কাজের উপর ভিত্তি করে তাদের বাৎসরিক বা মাসিক আয় বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। মোট কথা একজন উকিল যত বেশি পরিশ্রম করবে সে তত বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবে।

সরকারি আইনজীবীদের সর্বোচ্চ বেতন কত

একজন সরকারি আইনজীবীদের মধ্যে বেশ কয়েক ধরনের আইনজীবীগণ রয়েছে। এদের মধ্যেও তাদের কাজ এবং বেতন ও ভিন্ন ভিন্ন। কেউ হ*ত্যা মামলা নিয়ে কাজ করে থাকে, কেউ কাজ করে যৌতুক এবং নারী নির্যাতন নিয়ে, এবং কেউ কাজ করে থাকে ধর্ষণের অভিযোগ নেই। তবে এদের মধ্যে পাবলিক পাবলিক প্রসিকিউটর তিনি সাধারণত সকল ধরনের মামলারি সম্মুখীন হতে পারে। ধরতে গেলে সরকারি আইনজীবীদের সর্বোচ্চ বেতন একজন পাবলিক প্রসিকিউটরি পেয়ে থাকেন। একজন সরকারি আইনজীবী তার মাসিক বেতন প্রায় ৪০ থেকে ৬০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই বেতনের বাহিরেও আইনজীবীগণ বিভিন্ন উপায়ে এক্সট্রা ইনকাম করে থাকেন। অন্যান্য মামলা মকদদমায় বাদী এবং আসামিদেরকে পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমেও সে চাইলে ইনকাম করতে পারে।

ভারতের সরকারি আইনজীবীদের বেতন

যেহেতু ভারত একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিত। সেহেতু বলাই যায় দেশের সকল সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাতাও অনেক বেশি। যেহেতু সকল দেশেই আইন কানুন রয়েছে, সেহেতু তাদেরও নিজ নিজ পেশার আইনজীবীগন রয়েছে। ভারতে একজন সরকারি আইনজীবীদের বেতন কমপক্ষে ৫০০০০ থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এমনকি সকল আইনজীবীদের তাদের মকটেলের কাছ থেকে অনেক উপায়ে টাকা আদায় করে নিয়ে থাকে। সরকারের ভাবে তারা বেতন যত পায় তার থেকে বেশি ইনকাম করে তাদের মক্কেলের কাছ থেকে।

আইনজীবীদের কাজ কি

আইনজীবী মূলত আইনের তাত্ত্বিক বিষয়গুলির বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তির বা সংস্থার আইনি সমস্যার সমাধানের কাজ করে থাকেন। আইনজীবী হলেন ‘আইন ব্যবসায়ী’, যিনি একজন অ্যাডভোকেট, ব্যারিস্টার, অ্যাটর্নি, সলিসিটর বা আইনি উপদেশক। জনসাধারণের নানা দিক আইনিক সমস্যা এবং মামলাগুলো একজন আইনজীবী তার সঠিক সমাধান দিয়ে থাকে এবং এর বিনিয়নে পারিশ্রমিক।

সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের বেতন

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বেতন সম্পর্কে এখন আলোচনা করা হবে। যারা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের সম্পর্কে জানেনা তারা এই অনুচ্ছেদটি সম্পন্ন পড়বেন। এসব প্রেম করে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আইনজীবীগণ কর্মরত আছেন। সুপ্রিম কোর্ট হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এক দেশের সর্বশেষ আদালত হিসেবে কাজ করে, এর মাধ্যমে কোনও মামলা বা আইনি বিষয়ে শেষ ন্যায্য নিষ্পত্তি দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্ট সাধারিতভাবে আইনি সমস্যা ও মামলার প্রশ্ন সমাধান করতে এবং আইনী বা বৈধানিক প্রস্তুতিতে পরিস্থিতি স্থাপন করতে ব্যবহার করা হয়। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বেতনের বেতন স্কেল মোটামুটি হাই লেভেলে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থাকেন। প্রত্যেকটা আইনজীবী বেতন প্রায় 40 থেকে 60 হাজার টাকা পর্যন্ত।

ব্যারিস্টারের বেতন কত

ব্যারিস্টারদের বেতন তাদের অধ্যক্ষতায়, অভিজ্ঞতা, এবং কাজের ধরণ অনুসারে হয়ে থাকে। এটি প্রায়ই বিভিন্ন উপাধির একটি কারণে বিভাজিত হয়, যাতে সব ব্যারিস্টারদের উপাধি, অভিজ্ঞতা, এবং দক্ষতার ভেদ থাকে। বিশেষত দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যারিস্টারদের এই উপাধিতে তাদের বেতন বেশি হয়। এদের বেতনের তুলনামূলকভাবে ভাল বেতন হয় এবং তাদের অভিজ্ঞতার একটি প্রমাণ হিসেবে গণ্য হয়। ব্যারিস্টারের বেতন প্রতিষ্ঠানের ধরণেও ভিন্ন হতে পারে, তাদের অভিজ্ঞতা, গ্রাহকের বাড়তি এবং তাদের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে। এছাড়াও, একজন স্বাধীন অথবা আইনজীবী হিসেবে কাজ করা তাদের আদান-প্রদানের উপর বিশেষ ভার রাখতে হয়। একজন ব্যারিস্টারের মাসিক বেতন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।

জজ এর বেতন

একজন জজ এর কাজ হলো আইনকে উপযুক্ত ভাবে প্রয়োগ করা। একজন জজ সাধারণভাবে একটি আইনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে এবং তার কাজ হলো আইনের অনুসারে ন্যায় প্রদান করা। তার নিজের ক্ষেত্রে আইনের জ্ঞান থাকতে হয় এবং তিনি সাক্ষরতা, ন্যায়বিধি, এবং সুনীতি প্রকাশ করতে হবে। একজন জজ অধিকাংশই একটি উচ্চতর শিক্ষার স্তর এবং আইনতান্ত্রিক প্রশিক্ষণ থাকেন। একজন জজ আইনতান্ত্রিক সম্মতির দিকে দায়িত্বশীল হওয়ার সাথে সাথে সমস্ত পক্ষের ন্যায় প্রদান করতে হয়, যাতে সামাজিক ন্যায় ও সামাজিক সমানতা বজায় থাকে। সাধারণ অর্থে একজনকে বলা হয় বাংলাদেশের একজন বিচারক। তিনি সব ধরনের বিচার করে থাকেন এবং রায় দিয়ে থাকেন।

যুগ্ম জেলা জজদের ক্ষেত্রে বেতন স্কেল ছিল ২৭-৩৭ হাজার টাকা, তা করা হয়েছে ৫৪ হাজার ৪৭০ টাকা থেকে ৭৪ হাজার ৫৬০ টাকা। সিনিয়র সহকারী জজদের বেতন স্কেল ছিল ২৪ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা, এখন সুপারিশ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫৫০ থেকে ৭২ হাজার ২১০ টাকা।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের মাঝে সরকারী উকিলের আইনজীবীদের বেতন সম্পর্কে জানতে পেরেছেনবেতন কত, তা শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আশা করছি এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা বাংলাদেশের সরকারি উকিল এবং বাংলাদেশের সর্বোত্তম আদালত সুপ্রিম কোর্টের যাবতীয় কাজ-কর্মের এবং আরো জানতে পেরেছেন বাংলাদেশের আদালতের বিচারপতি জজ এর কার্যক্রম এবং তার বেতন সম্পর্কে। আমাদের এই প্রতিবেদনটি যদি আপনার কোন উপকার আসে তাহলে সকলের মাঝে শেয়ার করে বাংলাদেশের সরকারি উকিল এবং বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে জানার জন্য আগ্রহ পোষণ করুন। এবং কি বাংলাদেশের আইনজীবীদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ পোষণ করুন, ধন্যবাদ।

Leave a Comment